সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

বেশ্যা

                    বেশ্যা

----- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম 


সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে

পাপের হয়েছে শেষ,
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ।
জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?

দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।
বেশ্যা তো ছিল খাস মাল, তোদের রাতের রানী,
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!

সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।
রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে,
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!

চিনি চিনি ভাই সব সাধুরেই হরেক রকম সাজ,
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
নারী আমাদের মায়ের জাতি বেশ্যা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি,
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।
স্বামী যখন মরলো ভাবির দুধের শিশু কোলে,
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে।

দিনের মত দিন চলে যায়,
হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়,
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।

শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?
বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দিন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।
আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান -
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!

বেশ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!

আর কতকাল থাকবি অমন মুখোশ ধারীর দল,
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে,
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।
এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।
আসবে তিনি, এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।।

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

দুই বিঘা জমি

দুই বিঘা জমি
___রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু কহিলেন, ‘বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।’
কহিলাম আমি, ‘তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই –
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়জোর মরিবার মতো ঠাঁই।
শুনি রাজা কহে, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা,
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা –
ওটা দিতে হবে।’ কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে, ‘করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি।
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!’
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,
কহিলেন শেষে ক্রুর হাসি হেসে, ‘আচ্ছা, সে দেখা যাবে।’

পরে মাস-দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে –
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম, মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য –
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য।
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এইমত কাটে বছর পনেরো-ষোলো,
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হল।।

নমোনমো নম, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধুলি –
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন, রাখালের খেলাগেহ –
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল নিশীথশীতলস্নেহ।
বুক-ভরা-মধু বঙ্গের বধু জল লয়ে যায় ঘরে
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে –
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি, রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।।

ধিক্ ধিক্ ওরে, শত ধিক্ তোরে নিলাজ কুলটা ভূমি,
যখনি যাহার তখনি তাহার – এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফলফুল শাক-পাতা!
আজ কোন্ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ –
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন,
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন –
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সে দিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ী, ক্ষুধাহরা সুধারাশি।
যত হাসো আজ, যত করো সাজ, ছিলে দেবী – হলে দাসী।।

বিদীর্ণহিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি –
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে সেই আমগাছ একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালককালের কথা।
সেই মনে পড়ে, জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন –
ভাবিলাম হায়, আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন।
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে, বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা।
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।।

হেনকালে হায় যমদূতপ্রায় কোথা হতে এল মালী।
ঝুঁটিবাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
কহিলাম তবে, ‘আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব –
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব।’
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ;
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ –
শুনে বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, ‘মারিয়া করিব খুন।’
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, ‘শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!’
বাবু কহে হেসে, ‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়!’
আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোরে ঘটে –
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।।

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভালোবাসার অনুভূতি

বসন্তের নব-পল্লবের কচি আমেজ
ভালোবাসার নগ্ন শরীর
উপভোগ করেছি ---
অজন্তা চিত্র নয়, ইংরেজি নীল ছবি নয়;
আমার মানসীর সর্বাঙ্গে
হাত বুলেয়েছি যৌবন শিখরে ;
ভালোবাসার মাতৃ-সুধা
নারী রূপে ধরা দেয় ;
কামণার আর্তনাদ আত্মনাদ হয়ে পড়ে
সুখানুভূতির বালুচরে ||

~~~~~ 000 ~~~~

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

অধিকার

আনন্দের বিষম জ্বালা সহ্য নয় ;
       তবুও বিশ্বাস হয় না
নগ্ন শরীরে উত্তর পুরুষের অধিকার ;

চোখের সামনেই ভয়ংকর অবিশ্বাস
       প্রেম ধূসর মায়াবী এক স্বপ্ন ।

নেপকিনে শরীরের ক্লান্ত ঘাম মুছে
 প্রভাত সূর্যের স্নিগ্ধ আভারাশী
 কুয়াশার রক্তিমতায় জড়াজড়ি করছে ;

           ---- এ যেন ------
সত্য পূজারীর সৌন্দর্য্য ঝলসানো
                  এক নিত্য ঘটনা ।।

~~~~~ ০০০০ ~~~~~~

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

নাথুরাম গডসের শেষ জবানবন্দি

সংগৃহীত : 
________________________________________
আমি গান্ধীকে কেন মেরেছি
-----------------------------------------------------------------

সুপ্রীম কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর প্রকাশিত হয় মাননীয় নাথুরাম গোডসের ভাষন --- আমি গান্ধীকে কেন মেরেছি। 60 বছর এটা নিষেদ ছিল! আপনারা সকলেই জানেন --- 30 শে জানুয়ারী, 1948 গোডসে গুলি মেরে গান্ধীজীর হত্যা করেছিলেন। গুলি মেরে উনি ঘটনা স্হল থেকে পালিয়ে যান নি! উনি আত্মসমর্পণ করলেন! গোডসের সঙ্গে আরও 17 জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হল। মামলা চলাকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ করা হয় যাতে নাথুরাম গোডসে তাঁর বক্তব্য রাখতে পারেন। অনুমতি ত মিলল কিন্তু শর্ত সাপেক্ষ! সরকারের নির্দেশ অনুসারে কোর্টের বাইরে যাওয়া চলবে না। পরে ওনার ছোট ভাই গোপাল গোডসে দীর্ঘদিন মামলা চালানোর পর ---- প্রায় 60 বছর পর অনুমতি পাওয়া যায় সর্ব সমক্ষে রাখার। 

1. নাথুরাম ভাবতেন --- গান্ধীজির অহিংসা ঐ মুসলিম তোষণ নীতি হিন্দুদের কাপুরুষে রূপান্তরিত করে দিচ্ছে। কানপুরে গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থীকে মুসলিমরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। আর যে গণেশজী গান্ধীজির ভাব ধারায় প্রভাবিত ছিলেন ---- তাঁর হত্যাকান্ডে গান্ধীজি চুপ রইলেন!

2. 1919 এর জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ডে সমস্ত আক্রোশে ফুঁসছিল। এই নৃশংস হত্যাকারী খলনায়ক জেনারেল ডায়ারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য গান্ধীকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পরিস্কার মানা করে দেন! 

3. গান্ধী খিলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনলেন! নিজেকে কেবল মুসলিমদের হিতৈষী হিসাবে হাভ-ভাবে বুঝিয়ে দিতেন। কেরালায় মোপলা মুসলিমরা 1500 হিন্দুকে হত্যা 2000 হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করল! গান্ধীজি বিরোধীতা পর্যন্ত করলেন না! 

4. কংগ্রেসের ত্রিপুরা অধিবেশনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস বিপুল সমর্থনে জয়লাভ করেন। কিন্তু গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী ছিল সীতা রামাইয়া! সুভাষ চন্দ্র বোসকে পরে বাধ্য করা হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। 

5. 23 শে মার্চ, 1931 --- ভগৎ সিংকে ফাঁসী দেওয়া হয়। সারা দেশ এই ফাঁসী আটাকানোর জন্য গান্ধীকে অনুরোধ করেন। গান্ধী ভগৎ সিং এর কার্যকলাপকে অনুচিত মনে করে এই অনুরোধ রাখেন নি! 

6. গান্ধীজি কাশ্মীরের রাজা হরি সিংকে পদত্যাগ করতে বলেন --- কারণ কাশ্মীর মুসলিম বহুল রাজ্য! উনি হরি সিংকে কাশী গিয়ে প্রায়শ্চিত্য করতে বলেন! অথচ হায়দ্রাবাদের নিজামের ক্ষেত্রে চুপ। গান্ধীজির নীতি ধর্ম বিশেষে বদলাত। পরে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের সক্রিয়তায় হায়দ্রাবাদকে ভারতের সঙ্গে রাখা হয়। 

7. পাকিস্তান হিন্দু নিধন যজ্ঞ চলছে তখন। প্রাণ বাঁচাতে বেশ কিছু হিন্দু ভারতে চলে আসে। অস্হায়ী ভাবে আশ্রয় নেয় দিল্লীর মসজিদে। মুসলিমরা এর জন্য বিরোধীতা শুরু করে। ভয়ঙ্কর শীতের রাতে মা-বোন-বালক-বৃদ্ধ সকলকে জোর করে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। নিরব রইলেন গান্ধী! 
 
8. গান্ধী মন্দিরে কোরান পাঠ ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করলেন! এর বদলে কোন মসজিদে গীতা পাঠের ব্যবস্থা করতে পারলেন না! অসংখ্য হিন্দু, ব্রাহ্মণ এর প্রতিবাদ করেছিল ---- গান্ধী আমলই দিলেন না! 

9. লাহোর কংগ্রেসে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটৈলের জয় হল, কিন্তু গান্ধী জেদ করে এই পদ নেহেরুকে দিলেন। নিজের ইচ্ছা সফল করানোতে উনি সিদ্ধ হস্ত ছিলেন। ধর্না, অনশন, রাগ, বাক্যালাপ বন্ধ করা ---- এই কলা গুলির সাহায্যে যখন তখন ব্লাকমেল করতেন। সিদ্ধান্তের ঠিক ভুলও বিচার করতেন না। 

10. 14 ই জুন, 1947 দিল্লীতে অখিল ভারতীয় কংগ্রেস সমিতির বৈঠক ছিল। আলোচনার বিষয় ছিল ভারত বিভাজন। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে দেশ ভাগের প্রস্তাব গান্ধী সমর্থন করলেন। এই ইনই একদিন বলেছিলেন ---- দেশ ভাগ করতে গেলে ওনার মৃত দেহের ওপর করতে হবে! লাখ লাখ হিন্দু মারা গেলেও উনি চুপ থেকেছেন! মুসলিমদের কখনো শান্তি বজায় রাখার আদেশ দেন নি ---- যত আদেশ উপদেশ শুধু হিন্দুদের ওপর! 

11. ধর্ম নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে "মুসলিম তোষণ" এর জন্ম দেন গান্ধী। যখন হিন্দী ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার বিরোধীতা করল মুসলিমরা ---- স্বীকার করলেন গান্ধী! অদ্ভুত এক সমাধান দিলেন --- "হিন্দুস্তানী" (হিন্দী ও' উর্দুর খিচরি)!  বাদশাহ রাম, বেগম সীতা বলার চল শুরু হল! 

12. কিছু মুসলমানের বিরোধীতায় মাথা নত করলেন আবার ---- "বন্দে মাতরম" কে জাতীয় সংগীত হতে দিলেন না! 

13. গান্ধীজি বেশ কয়েকবার ছত্রপতি শিবাজী, মহারাণা প্রতাপ, গুরু গোবিন্দ সিংহকে পথভ্রষ্ট দেশভক্ত বলেছেন! কিন্তু সেখানে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহকে "কায়দে আজম" বলে ডাকতেন! 

14. 1931 এ জাতীয় কংগ্রেস স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা কেমন হবে  তা নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি তৈরী করে। এই কমিটি সর্ব সম্মতিতে ঠিক করেন ---- গেরুয়া বস্ত্রের পতাকা হবে যার মাঝখানে চরখা থাকবে। কিন্তু গান্ধীজির জেদে সেটা তেরঙ্গা করতে হয়! 

15. যখন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটৈলের উদ্যোগে সোমনাথ মন্দিরের পুননির্মাণের প্রস্তাব সংসদে রাখা হয় ----- তখন উনি বিরোধীতা করলেন! এমনকি উনি মন্ত্রীমন্ডলেও ছিলেন না! কিন্তু অদ্ভুত ভাবে 13 ই জানুয়ারী, 1948 এ আমরণ অনশন শুরু করলেন --- যাতে সরকারী খরচে দিল্লীর মসজিদ তৈরী হয়! কেন এই দ্বিচারিতা? উনি হিন্দুকে হয়ত ভারতীয় ভাবতেনই না!

16. গান্ধীজির মধ্যস্হায় ঠিক হয় ---- স্বাধীনতার পর ভারত পাকিস্তানকে 75 কোটি টাকা দেবে। 20 কোটি শুরুতেই দেওয়া হয়। বাকি ছিল 55 কোটি। কিন্তু 22 শে অক্টোবর, 1947 পাকিস্তান কাশ্মীর আক্রমণ করে! পাকিস্তানের এই বিশ্বাস ঘাতকতার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমন্ডল সিদ্ধান্ত নেয় বাকী পয়সা আর পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না। কিন্তু সেই বেঁকে বসলেন লাঠিধারী! শুরু করলেন আবার ব্লাকমেল --- আবার অনশন। শেষে সরকার বাকি 55 কোটি টাকাও বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তানকে দিতে বাধ্য হল! 

এইরকম জিন্নাহ ও' অন্ধ পাকিস্তান প্রীতি দেখে বলতে পারি উনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপিতা ছিলেন ---- ভারতের নয়। প্রতিটি মুহুর্তে পাকিস্তানের সমর্থনে কথা বলেছেন ---- সে পাকিস্তানের দাবী যতই অন্যায় হোক! 

আদালতে দেওয়া নাথুরাম গোডসের কিছু বয়ানের বঙ্গানুবাদ। 

" আমি ওনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোন দেশভক্তকে দেশ ভাগ ও' একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্ব করার অনুমতি দিতে পারি না। আমি গান্ধীকে মারি নি ---- বধ করেছি --- বধ। গান্ধীজিকে বধ করা ছাড়া আমার কাছে আর কোন উপায় ছিল না। উনি আমার শত্রু ছিলেন না ---- কিন্তু ওনার সিদ্ধান্ত দেশের বিপদ ডেকে আনছিল। যখন কোন ব্যক্তির কাছে আর কোন রাস্তা থাকে না তখন ঠিক কাজ করার ভুল রাস্তা নিতে হয়। 

মুসলিম লীগ ও' পাকিস্তান নির্মাণে গান্ধীজির সমর্থনই আমাকে বিচলিত করেছে। পাকিস্তানকে 55 কোটি টাকা পাইয়ে দেবার জন্য গান্ধীজি অনশনে বসেন। পাকিস্তানে অত্যাচারের জন্য ভারতে চলে আসা হিন্দুদের দুর্দশা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। গান্ধীজির মুসলিম লীগের কাছে মাথা নত করার জন্য অখন্ড হিন্দু রাষ্ট্র সম্ভব হয়নি। ছেলের মাকে টুকরো করে ভাগ করতে দেখা আমার অসহনীয় ছিল। নিজ দেশেই যেন বিদেশী হয়ে গেলাম। 

মুসলিম লীগের সমস্ত অন্যায় আব্দার উনি মেনে চলছিলেন। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ---- ভারত মাতাকে পুনরায় টুকরো হওয়ার হাথ থেকে ও দুর্দশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাকে গান্ধীজির বধ করতে হবে। আর সেইজন্যই আমি গান্ধীকে বধ করেছি। 

আমি জানতাম এর জন্য আমার ফাঁসী হবে এবং আমি এর জন্য প্রস্তুত। আর এখানে যদি মাতৃভূমির রক্ষা করা অপরাধ হয় ----- তাহলে এরকম অপরাধ আমি বার বার করব ---- প্রত্যেক বার করব। আর যতক্ষণ না সিন্ধু নদী অখন্ড ভারতের মধ্যে না বাহিত হয় ---- আমার অস্থি ভাসিও না। আমার ফাঁসির সময় আমার এক হাতে কেশরীয় পতাকা ও' অন্য হাতে অখন্ড ভারতের মানচিত্র যেন থাকে। আমার ফাঁসিতে চড়ার আগে অখন্ড ভারত মাতার জয় বলতে চাই। 

হে ভারত মাতা --- আমার খুব দুঃখ যে আমি কেবল এইটুকুই তোর সেবা করতে পেরেছি ।"

"মেরে তোর হাত-পা ভেঙে দেবো। ভিখিরী কোথাকার।"

এটা কোনো প্রকারে আমার লেখা নয় । সংগৃহীত । ভালো লেগেছে তাই আমার ব্লগে পাবলিশ করা । অনধিকার পাবলিশিং এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাইছি । ধন্যবাদ ।

"মেরে তোর হাত-পা ভেঙে দেবো। ভিখিরী কোথাকার।"
দিল্লীর বিজয়নগরের এক বস্তি অঞ্চলে ছোট্ট ছেলেটি থাকে।
পরনের শতছিন্ন জামাটি ধূলিধূসরিত।
গতকাল সন্ধ্যের পর থেকে আর এক কণাও খাবার জোটেনি। ক্ষিদে পেটেই রাস্তা দিয়ে একা একা চলছে বাচ্চা ছেলেটি।
ছেলেটির মাত্র ৯ বছর বয়স। সকলে তাকে ভলু নামেই চেনে।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই ভলু লক্ষ্য করে, এক দোকানে গরম গরম সিঙ্গারা ভাজা হচ্ছে।
একেই ক্ষিদেয় পেট চুঁইচুঁই করছে, তার ওপর গরম সিঙ্গারা দেখে ভলুর জিভে জল এসে গেল। মনে হলো কেউ যেন মুখের ভিতরে বয়ে চলা খরস্রোতা নদীটির বাঁধ খুলে নিয়েছে।
"কাকু", দোকানদারকে উদ্দেশ্য করে ভলু নিষ্পাপ গলায় ডেকে উঠলো।
দোকানদার ঠিক ততটাই রূঢ় কণ্ঠে বললেন "কি চাই টা কি?"
ভলু তার অসহায়তার কথা জানিয়ে বললো "আমাকে একটা সিঙ্গারা দেবে? আমার কাছে একটা পয়সাও নেই।"
"এখুনি এখান থেকে বেড়িয়ে যা বলছি"। অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সুরে দোকানদার বলে উঠলেন।
ক্ষুধার্ত ভলুর শুকনো ঠোঁট দুটো দোকানদারের বিশ্বাস অর্জনের শেষ একটা চেষ্টা করলো "কাল রাত থেকে কোনো খাবার পাইনি কাকু, খুব ক্ষিদে পেয়েছে। দাও না একটা সিঙ্গারা।"
"ভাগ এখান থেকে, নাহলে মেরে হাত পা ভেঙে দেবো। সালা ভিখারী।"
ভলু ভয় পেয়ে দু'পা পিছিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পরে দোকানদার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ক্ষিদের জ্বালায় ভলুর ভয়ও ততক্ষনে বেশ কিছুটা স্তিমিত হয়ে পরেছে।
মনে সাহস সঞ্চয় করে, ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ভলু সামনের দিকে এগিয়ে আসে। নিশ্চুপে প্লেট থেকে একটা সিঙ্গারা তুলে নেয়।
কিন্তু এই ঘটনা দোকানদারের নজর এড়ালো না। ভয়ানক রেগে গিয়ে তিনি চিৎকার করে উঠলেন "জানোয়ার। সালা চোর। এত সাহস হয় কি করে তোর"। গর্জে উঠে ভলুর হাত মুচড়িয়ে দেয় তিনি।
"কাকু ছেড়ে দাও আমার হাত। আমি চুরি করিনি, সিঙ্গারা গুলোতে হাত দিয়েছিলাম কেবল।" আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে ভলু।
"ওহ মা…আমার হাত"। যন্ত্রণায় ডুকরে কেঁদে ওঠে ছোট্ট ছেলেটি।
কিন্তু দোকানদার তাতে কর্ণপাত পর্যন্ত করলেন না। নিষ্ঠুর ভাবে ভলুর হাতে-পিঠে আঘাত করতে লাগলেন। ভলুর কনুই পর্যন্ত মুচড়ে দিলেন।
ছোট্ট ছেলেটির অবস্থা তখন মৃতপ্রায়।
ছোট্ট দুটো হাত দিয়ে মাথাটা ঢেকে রাস্তাতেই বসে পড়লো ভলু। যেন বলতে চাইছে, "আমাকে যত খুশি মারো, কিন্তু আমার মাথায় আঘাত করো না।"
মার খেতে খেতে ভলুর চারিদিক যেন কিছুক্ষনের জন্য অন্ধকার হয়ে গেল। সে আর নিশ্বাস-প্রশ্বাসও ঠিক ভাবে নিতে পারছে না।
সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। সম্ভবত ভলুর হাতটাও ভেঙে গেছে।
তীব্র যন্ত্রণায় কেঁদে ওঠে ভলু। শরীরের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ছুটতে থাকে ভলু। নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকে।
দিল্লীর এক বস্তিতে থাকে ভলু। নোংরা , অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই সে বড় হয়ে উঠছে। সরু সরু গলি ঘুপচির মধ্যে দুজন মানুষ পর্যন্ত পাশাপাশি হেঁটে যেতে পারবে না। সেই পথ দিয়েই ভলু দৌঁড়ে চলেছে।
একটা ছাদের তলায় এসে ভলু থামলো। এটাই নাকি এই ছোট্ট ছেলেটির ঘর। পুরোনো জীর্ণ একটা প্লাস্টিকের চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে পড়লো। দেওয়ালে টাঙানো মায়ের হাসিমুখের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ভলু অঝোরে কাঁদতে থাকে।
"মা তুমি কোথায়?"
"আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।"
"মা, তুমি জানো, ওই দোকানদারটার কাছে একটা সিঙ্গারা চেয়েছিলাম বলে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে।"
"আমাকে জানোয়ার বলেছে। বলেছে আমি নাকি চোর। আমাকে খুব মেরেছে, মা।"
"খুব যন্ত্রনা হচ্ছিলো আমার। আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। আমার কনুই পর্যন্ত মুচড়ে দিয়েছে।"
"মা , তুমি তো আমাকে সবসময় বলতে আমি ঠিক মতো খাবার না খেলে, তুমি চলে যাবে। আমি কথা দিচ্ছি তুমি যা বলবে সব করবো, যা খেতে দেবে সব খাবো। তুমি ফিরে এসো মা"।
দেওয়ালে টাঙানো মা এর নিষ্প্রাণ ছবি কেবল অসহায়ের মতো হাসতে থাকে।
হঠাৎই, ভলুর এই ছোট্ট ঘরে এক ভদ্রমহিলা আসলেন।
তিনি একজন সমাজ সেবিকা।
ভলুর দিকে তাকিয়ে বললেন "তুমি তোমার মা-বাবাকে একটু ডেকে দেবে? ওনাদের সাথে কিছু কথা আছে।"
ভলু কিছুই বলে না। নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে ক্রমাগতভাবে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলে।
"কি হয়েছে তোমার হাতে?"
ভলু তাও কোনো উত্তর দেয় না। যন্ত্রণায় সে কেঁদেই চলেছে।
ভদ্রমহিলা ভলুকে সাথে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারবাবু ভলুর হাতে প্লাস্টার করে দিলেন।
মিসেস ডিসুজা ভলুর জীবন সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারলেন। এক মাতৃস্নেহে তাঁর হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে।
তিনি ভলুকে জিজ্ঞাসা করলেন
"তুমি পড়াশোনা করবে?"
ভলু মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
কিন্তু পরমুহূর্তেই কি যেন একটা চিন্তা করতে থাকে।
"আর খাবার"? ভলু খুব উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়।
"তোমাকে আর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। শুধু মন দিয়ে পড়াশোনা করো। কেমন?"
"আর আমাকে এখন থেকে মা বলে ডেকো"। আলতো করে নিজের স্নেহের হাতটা ভলুর মাথায় রেখে সহাস্য মুখে তাকালেন মিসেস জেব্রিয়ানা ডিসুজা।
"ঠিকাছে মা"। ভলু অনায়াসে এমন ভাবে বলে উঠলো যেন তার রোজকার যাবতীয় সমস্যার সমস্ত সমাধান সে খুঁজে পেয়ে গেছে।
ভলু আর বস্তির ছেলে নেই।
কনভেন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা করে সে এখন উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে পারি দিয়েছে।
ভলু এখন একজন উচ্চশিক্ষিত যুবক। লন্ডন থেকে ফিরে এসে সে চশমার একটি নতুন ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠা করে। তার নতুন মা, হয়তো সাক্ষাৎ ভগবান, তাঁর নাম অনুযায়ী সে তার ব্র্যান্ডের নামকরণ করে 'জেব্রিয়ানা'। বর্তমান যুগে অতিরিক্তি মোবাইল আর ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে চোখে যে অতিরিক্ত প্রেসার পরে, তা রোধ করতে এই ব্র্যান্ডের চশমার জুড়ি মেলা ভার।
"আজকের খাবারের কন্টেনারগুলো সব রেডি তো?" ভলু ভাস্কর তার এসিস্ট্যান্টকে জিজ্ঞাসা করে।
"হ্যাঁ স্যার। প্রায় রেডি। আর মাত্র চারটে কন্টেনার প্যাক করা বাকি" এসিস্ট্যান্ট জানায়।
"ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি করো। আজ আমরা মদনপুর বস্তিতে যাবো। সমস্ত খাবার ওখানকার ফুটপাতে যারা থাকে, তাদের মধ্যে ভাগ করে দেবো। আর যদি কিছু বেঁচে যায়, তবে রাতে যারা ওখানে আশ্রয় নেয় তাদেরকেও দিয়ে আসবো।" ভলু ভাস্কর নির্দেশ দেয় তার এসিস্ট্যান্টকে এবং নিজের কোম্পানি জেব্রিয়ানার অন্যুয়াল রেভিনিউ চেক করতে শুরু করেন।
বেশিরভাগ সময়ই টেকনিশিয়ান, রিসার্চার আর সাপ্লায়ারদের দ্বারাই পরিবেষ্টিত থাকে এখন ভলু। তারা অবশ্য তাকে মিস্টার ভাস্কর নামেই চেনেন।
ভলুর মায়ের সেই ছবিটা আজও দেওয়ালে সুন্দর ভাবে টাঙানো আছে। তার কেবিনে চেয়ারের ঠিক পেছনটাতে।
কিন্তু আজ আর মায়ের মুখে সেই অসহায়ের হাসিটা নেই। বরং তাঁর চোখে মুখে গর্বের যে উজ্জ্বল হাসিটা দেখা যাচ্ছে তা পরিমাপ করা সম্ভব নয় কোনোভাবেই।
মায়ের কাছে মিস্টার ভাস্কর আজও সেই ছোট্ট ভলু। চিরকাল তাইই থাকবে।
আমি আগে মনে করতাম, ঈশ্বরের অস্তিত্ব হয়তো নেই। কিন্তু আজ বুঝতে পারি, কোথাও একটা চূড়ান্ত কোনো শক্তি অবশ্যই বিরাজ করছে। উপযুক্ত মুহূর্তে আমাদের সাহায্য করার জন্য সে তার সৈনিককে ঠিক প্রেরণ করবে।
জীবনে এই সত্যিটাই হয়তো শিখতে গিয়ে খুব দেরি হয়ে গেলো।


অখন্ড ভারতবর্ষের ইতিহাস

আফগানিস্তানকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় ১৮৭৬ সালে, নেপাল বিচ্ছিন্ন হয় ১৯০৪ সালে, ১৯০৬ সালে ভুটান, ১৯০৭ সালে তিব্বত (আংশিক), ১৯৩৫ সালে তিব্বত (বাকী অংশ), মায়ানমার ১৯৩৭ সালে এবং সবশেষে পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয় ১৯৪৭ সালে। সবশেষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হয়।

শ্রীলঙ্কার অতীতে নাম ছিল সিংহলদ্বীপ যা পরবর্তীকালে সিলন(Ceylon) নামে পরিচিত হয়েছিল। অশোকের রাজত্বকালে এর নাম ছিল তাম্রপর্ণী। অশোকের পুত্র মহেন্দ্র সেখানে গেছিলেন বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করতে। 

আফগানিস্তানের প্রাচীন নাম ছিল উপগণস্থান। কান্দাহার ছিল গান্ধার। ১৮৭৬ সালে ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যে গান্দামক চুক্তির ফলে আফগানিস্তানকে একটি পৃথক দেশ হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। 

 মায়ানমার প্রাচীনকালে ব্রহ্মদেশ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৩৭ সালে এটিকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীনকালে আনন্দব্রত নামক হিন্দু রাজা এখানে শাসন করেছেন। 

নেপাল যার প্রাচীন নাম ছিল দেওধর সেখানকার লুম্বিনিতে বুদ্ধ ও জনকপুরে সীতা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে মহারাজ ত্রিভূবন সিংহ নেপালের ভারতে সংযুক্তিকরণের আবেদনকে নেহরু প্রত্যাখ্যান করেন। 

তিব্বতের প্রাচীন নাম ছিল ত্রিবিষ্টম। ১৯০৭ সালে ব্রিটেন ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তির ফলে তিব্বতের একটি অংশ চীন ও আরেকটি অংশ লামাকে দেওয়া হয়। 

সংস্কৃতে ভূ উত্থান শব্দ থেকে নামকরণ হয় ভুটান, যাকে ১৯০৬ সালে একটি পৃথক দেশ হিসেবে ব্রিটিশরা মান্যতা দেয়।

#সংগৃহীত 

বেশ্যা

                         বেশ্যা ----- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম   সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে পাপের হয়েছে শেষ, বেশ্যার লাশ হবে না দাফন এইটা ...