মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
ভালোবাসার অনুভূতি
সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
অধিকার
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
নাথুরাম গডসের শেষ জবানবন্দি
"মেরে তোর হাত-পা ভেঙে দেবো। ভিখিরী কোথাকার।"
অখন্ড ভারতবর্ষের ইতিহাস
ভারত বর্ষের প্রায় ৪ হাজার বছরের রাজত্বকাল
-- দারিদ্র্য দহন শিব স্তোত্রম --
আদ্যা স্তোত্র
যঃ পঠেৎ সততং ভক্ত্যা স এব বিষ্ণুবল্লভঃ ।।
অপুত্রো লভতে পুত্রং ত্রিপক্ষং শ্রবণং যদি ।।
মৃতবত্সা জীববত্সা ষণ্মাসং শ্রবণং যদি ।।
লিখিত্বা স্থাপয়েদঃগেহে নাগ্নিচৌরভয়ং ক্বচিতঃ ।।
ঔং হ্রীং ব্রহ্মাণী ব্রহ্মলোকে চ বৈকুণ্ঠে সর্ব্বমঙ্গলা ।।
যমালয়ে কালরূপা কুবেরভবনে শুভা ।।
নৈঋত্যাং রক্তদন্তা চ ঐশাণ্যাং শূলধারিণী ।।
সুরসা চ মণীদ্বিপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ।।
বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাক্ষ্যা নীলপর্বতে ।।
বারাণস্যামন্নপূর্ণা গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী ।।
দ্বারকায়াং মহামায়া মথুরায়াং মাহেশ্বরী ।।
নবমী শুক্লপক্ষস্য কৃষ্ণসৈকাদশী পরা ।।
রামস্য জানকী ত্বং হি রাবণধ্বংসকারিণী ।।
নিশুম্ভশুম্ভমথিনী মধুকৈটভঘাতিনী ।।
আদ্যাস্তবমিমং পুণ্যং যঃ পঠেতঃ সততং নরঃ ।।
কোটিতীর্থফলং তস্য লভতে নাত্র সংশয়ঃ ।।
নারায়ণী শীর্ষদেশে সর্ব্বঙ্গে সিংহবাহিনী ।।
বিশালাক্ষী মহামায়া কৌমারী সঙ্খিনী শিবা ।।
দুর্গা জয়ন্তী কালী চ ভদ্রকালী মহোদরী ।।
ভয়ঙ্করী মহারৌদ্রী মহাভয়বিনাশিনী ।।
স্বপ্ন ঋণ
বাসনার গুরুভার
নীল আকাশের ক্ষুব্দ প্রসারিত অনুভূতি
প্রভাতের অরণ্য - শিশির ভেজা - বিহঙ্গ ওড়া
বন্ধন খোলা বেণী নিংড়ে নিলো মুক্তির গোধূলী ।
অহংবোধের সত্ত্বা মহিমান্বিত
কর্মিষ্ট জনতার নবীন সূর্যের মুখোশ
জ্বল জ্বল করে মুছে গেলো - সহস্র নক্ষত্রের মধ্য হতে
ধুমকেতুর মত ছুটে গেল বাসনার শূন্য গুরুভার ।
নগ্ন পদতলে বাসনার গুরুভার
হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে উঠছে মহাসেন ,
নৃত্যরত লাস্যা সোনালী মেঘের মেয়ে
অসীম বার্তাবাহী - এ ভুমাত্বের কুহেলিকা ।
প্রণয় আবেদন ছুয়ে যায় তার চিরন্তন যৌবনসত্বায় ।।
~~~ ০০০ ~~~
কস্তুরী
তোমার জন্ম কোথায় ?
শাল-সেগুনের ছায়ায় তোমার আসা যাওয়া
সুন্দর গোরী গোরী চেহারা
রূপসী রাণীর দীপ শিখা;
অন্তরের অনিবার্য আকর্ষণ।
চিতল হরিণের অতল নাভিমূলে ?
কচি জীবনের প্রথম প্রেমের আকর্ষণ ,
চঞ্চল হৃদয় শব্দের অনুরণন ;
প্রকোষ্ঠ বন্ধী হয়ে প্রেমিক মনে এসেছে
স্বপ্নের বসন্ত; খুঁজে বেড়ায় ----
গলি হতে গলি ; কাব্য হতে কবিতায় ,
উপন্যাসের পাতায় পাতায় ;
তবুওঃ ম্রিয়মান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি ----
তার পরই চোখে ভাষে
এক দুরন্ত হরিণী রূপ; --- ধীর স্থির
শান্ত ভাবে ---- গুনতী পদে
চলছে বেয়ে অস্তরাগের তরী ;
করন্তে মিহিকায় ভেজা ফুল চয়নে
প্রভাতে বেস্ত ---- আমার হৃদয় কস্তুরী ।
হে মোর সহ কস্তুরী !
তুমি রাতের অন্ধকার নও , ----
----- জ্যোৎস্নার অম্লান হাসি ;
তোমার অনবদ্যাঙ্গী প্রবহমান হিয়ায় আমি ;
অনপেক্ষ প্রেমিক হয়ে রব
---- এ শতাব্দীর শাশ্বতকাল পরেও ।
––– ০০০ –––
মহাশ্বেতা
অভিসারিনী
মিটি মিটি সন্ধ্যার আলোকে -----
আমি যখন দাঁড়িয়ে ছিলেম একা , ---
মধ্যবর্তী ঐ কালবাটে ; গা এলিয়ে ----
সন্ধ্যা সমাগতা , মিষ্টি মধুর দৃশ্য
অবলোকন হেতু ..........
দূর আকাশে তখন সবে
তারকারাজি ফুটে উঠেছে, -----
সেই নির্মল আকাশের বুক চিরে,
মনে হলো, --- কিছু বলবে আমাকে
তাই রয়েছি চুপচাপ দাঁড়িয়ে।
বলিল: "ও হে ! আজি তুমি একা ----
তোমার প্রিয় সঙ্গীরা কোথায় (?)"
আমি উত্তর করেছিনু, ----
ওগো সুন্দরের অভিসারিনী
তোমারই বিধূমুখ দেখার আশে
রয়েছিনু যে দাঁড়িয়ে।
যাচ্ছ কোথায় অভিসারে ?
"চলেছি অভিসার হেতু ---
সুদাংশু পানে।"
ভাবছিনু, উত্তর হলো কোথা হতে !
ফিরিয়া দেখিনু, বলিছে এক তারকা
হাসিয়া আমারই পানে।
ফিরিছিনু যবে আমি ঋতানৃত জগতে
কর্ণিকাহীন আলোকাবলী বিছানো তনুমধ্য
তখনই জিজ্ঞাসিছে :--
"আজি এই উদাসী পথের বাঁকে
কি করিতেছ দাঁড়িয়ে (?)
---- হে উদাসী !"
চমকিয়া আমি জিজ্ঞাসিনু তারে ----
"তুমি কে গো !!
আজি এই সন্ধ্যার মালতি-ভরা
গন্ধ-লুঠা তপস্যা ভঙ্গ করিলে মোরে।"
সেই ষোড়শী উত্তরিল মোরে ----
আমায় চিনিতেছ না !
আমি চলেছি অভিসারে, পূর্বরাগ 'পরে
তোমারই সনে।
আমি যে তোমারই অভিসারিনী -----
----- অমৃতভাষিনী।
--- প্রিয়ংবদা।।
––––––
পরিণতি
পুরু অথচ ঋজু মখমল সজ্জিত ---
~~~ ০০০ ~~~
শূন্যতা
আমার চঞ্চল হৃদয় অজানা বাসনায় আজ সপ্তনদীর সুরময় পদ্য
স্বপ্নের বাসরঘরের আঙ্গিনায় নববধুর সঙ্গে প্রথম প্রনয় অপেক্ষায় ;
অন্যথায় - ভালোবাসা রয়ে যাবে শুধু এক স্বপ্নময় "অধরামাধুরী"।
দশতলায় ভালোবাসা !
আমি নিচে ফুটপাতে শুয়ে
কুকুরের সঙ্গে ঘুম ভাগাভাগি করি ;
ভালোবাসার শূন্যতা যতই প্রাংশুময় হোক ।
প্রতিভা
প্রতিভা,
তোমারে কখনো তো আমি দেখিনি
তবুওঃ তোমার স্বপ্নালু নীলাভ আঁখি
সন্ধ্যার অন্ধকারে ভেসে ওঠে;
পল্লবিত করে শীতে ঝরে পড়া পাতা,----
বর্ষার তেজে সচেতন হয়ে ওঠে,
বসন্তের দক্ষিণা হওয়ায় সবই ----
গুলিয়ে যাচ্ছে, শুধুই ------- ।
প্রতিভার জ্বালায় পৃথিবীর কোণে
ডাক পড়েছে,
ধ্রুবতারা জ্বলে উঠেছে,
গ্রহান্তরে খুঁজে বেড়ায় -----
সেই কোমল কোরক অব্যক্ত অবয়ব;
লুকানো গভীর মর্মর ব্যাথা -----
নিশ্চল হয়ে দেখি।
প্রতিভা,
তোমার মেঘের মতো এলোমেলো চুলগুলি
সৌরভের মাদকতা --- সর্বশরীরে ;
প্রতিভা! সত্যি চুরি হয়ে গেছে
শরীরের রিক্ত জীবনের মৃত্যু মেদ;
ঝলমলে বর্ণময় কান্তি;
উজ্জ্বল হৃদয়।
প্রতিভা, নির্জন প্রকোষ্ঠে ফুটিয়েছে
তার অ'মৃতহীন উঠতি শরীর
উষ্ণ আলিঙ্গনের তৃপ্তিতে ভেজাতে।
তন্দ্রার অলীক আকাশগঙ্গার সিঁড়ি
হঠাৎ ছিটকে গেলো -----
বাস্তবের কঠোর ধূলিতে;
পরখ করতে পারিনি সৃষ্টিসুধা
কারণঃ
সে ছিল আমার প্রিয়া প্রতিভা।
––––––––―
অনুসূয়া
গাঢ় মেহেদির লাল রং
আমার স্রোতহীন শুষ্ক নদীতে
- অজ্ঞাত সোহাগের স্বপ্ন ওড়ায় ;
আজ্ সারারাত ।
অনুসূয়া !!
- যেন বাসন্তী প্রভাতের ত্যাক্ত বসন ;
- অন্তিম টানে ; তন্বী - বন্ধন ছিন্ন হয়
শূন্য আঙ্গিনায় ।
কৈশোরে দেখা নিস্তরঙ্গ দৃশ্যের মতো
ফুটে ওঠে স্বর্গগঙ্গার ছায়াচিত্র ।
অনুসূয়া !!
- শেষ অঙ্কের সওগাত ।।
রাত্রির আবেশ
অন্ধকারের গভীরতা কানাকানি করেঃ
নিস্তব্ধ কঙ্কনার কঙ্কন ধ্বনি
কন্ঠের মাধুরিমায় একাত্ব;
বড় ভালো বোধ হয়।
বৈদ্যুতিক ল্যাম্পের আলোয় একাকী
ঘুমহীন ঢুলু ঢুলু চোখে
তন্দ্রার আবেশে -----
কঙ্কনার স্বপ্নে বিছানো বিছানায়;
হঠাৎ একরাশ সৌরভে
ঘরের অন্ধকার নেমে এলো; -----
সম্বিৎসারে অন্য আর একটা
রাত্রির আবেশ-----
খোলামেলা ভাবে জেগে ওঠে
কাত হয়ে জেগে শুয়ে থাকা
বিছানা-প্রেমিকের চোখে।
উঠে একটু গলাটা ভিজিয়ে নেয়,
আবার শুয়ে পড়ে; নড়ে আর উঠে
সারা রাত্র ; তবুওঃ ;
একাকী উপাধান-ক্রীড়নক করে
পড়ে থাকে।
স্বপ্নের মাদকতা অস্পষ্ট হয়ে আসে
ঈস্পিত বাস্তবকে মেনে নিয়ে।
তারপর সে সুখ খুঁজে ফেরে-----
অসীমাকাশের মহাশূন্যের
অন্তহীন মৈথুনতার পথে;
কোন সে এক অজানা
মধুযামিনির ঘোরে।
––––––
শ্রাবণী
হারিয়েছি তোমাকে শ্রাবণী !
শ্রাবস্তী নগরী পার হয়ে তুমি
ত্রস্তা ধরণীর বুকে মিশেছ।
তুমি সুখী হয়েছ তো ?
ভালোবাসার মহার্ঘ্যভাতা পাইনি আমি
শুধু করের বোঝা চেপেছে।
শোধ দিতে না পেরে - হয়েছি দেউলিয়া ;
শুয়েছি ধুলার প্রাসাদে -
শুধু তোমারই জন্যে - শ্রাবণী !
তুমি সুখী হয়েছ তো ?
আজ এই ক্রান্তিকালীন সময়ে
দেখে যেও একটি বার , অমৃতশয়ানে
আছি যে তোমারি পথ চেয়ে
বৃথা ফিরায়ো না -- শ্রাবণী !!
আমি যে ভালোবাসার মহার্ঘ্যভাতা পেতে চায়।
--- ০০০ ---
এক টুকরো কয়লা
--- এক টুকরো কয়লা
নাম - কাঠ কয়লা ।
তার জন্ম ইতিহাস আমার জানা নেই ।
তুমি কি জান ?
সপ্রপাতে বয়ে চলেছে
গঙ্গা বক্ষে ;
সুমুদ্র অভিমুখে !
অনন্ত সুমুদ্র ............ !!
কথা দিলাম
নিত্য আমি আমার মতো
যায় যদি যায় চলে.....
সত্য বলছি তোমার সাথে
বন্ধু ! দেখা একবার হবেই।
তুমি যদি যাও উড়ে
আমি যাবো সাথে
সত্য বলছি তোমার সাথে
বন্ধু ! দেখা আমার হবেই।
বন্ধু !
তুমি যদি থাকো সাত সমুদ্র পার
আমি কথা দিলুম,
যাবো সেথায় তোমার সাথে
ভাসবো এক তরনী 'পর।
বিদ্যুৎ
ঝল্'কে উঠলো তার মুখ ;
এক সোনালী রোদ্দুরের হাসি ছড়ানো
সুন্দর অবলীলায় গাড় থেকে গাড়তর ।
অন্ধকারের পথে নেমে এলো
জোনাকীর ঝিঁ ঝিঁ রবে ;
একবুক সাহস আর অভিমান ;
আরক্ত রক্তিম মুখে পূর্বরাগের
বিদ্যুৎ স্ফুরণ ।
জলন্ত সূর্যের দগ্ধ অগ্নিপিন্ডের মতো
দাউ দাউ করে জ্বলছে
এই বুক , এই হৃদয় .... ।
~~~ ০০০ ~~~
অভিলাষী হৃদয়
আমার শুষ্ক ভালবাসার মরুভূমিতে
তোমার নরম হাতের স্পর্শে বান ডেকেছে ;
কামনার নিরন্তর স্পর্শমনিতে ফুল ফোটে ;
বন- দোয়েলের পাতা-পুস্পে মাখা মাখির কাহিনী।
চতুর্দিকে ফাল্গুনের হাওয়া -------
আলগোছে স্বর্গ গড়ে দেয় তোমার
দ্বিধাহীন তৃষিত ভালোবাসা ।
তোমার অভিলাষী হৃদয় !!
দুরস্থ স্পর্শমণির মতো আমার জেগে ওঠে
অতিন্দ্রীয় সুখ-শয্যায় তোমার রতি প্লাবন
অসংকোচে হয়ে ওঠে হাঘরে ঊর্বশী ;
যৌবন পূর্ণতা পায় প্রজাপতির কল্যানে ।
~~~~~ ooo ~~~~~
সাগর বেলায়
স্বপ্ন
মালিশ
পুঞ্জীভূত সত্য
বন্ধু ! !
আমি দেখেছি
পুঞ্জীভূত সত্য ----- মিথ্যার ঝলকানিতে
ভালোবাসায় আঘাত হানে ;
ক্রমাগত চিতনাল জ্বলে যৌবনের।
বন্ধু ! !
আমি দেখেছি
বাহাদুর বিশ্বকর্মারা ----- জ্ঞান ঝুলিতে সিঁধ কেটে
কেজোদের দলে নাম লেখায় ;
নবযৌবন কুলিদের স্বপ্নে ভরা লণ্ঠন।
বন্ধু ! !
আমি দেখেছি
ইন্দ্রগণ নারীসঙ্গলাভে কুমারটুলির কাতারে
কাদার পিন্ড হাতে অপেক্ষমান ;
চেলিবেষ্টিত কন্যার কুষ্টিতে অশ্রুজল ।
বন্ধু ! !
তুমি দেখেছো কি -----
শত সন্ন্যাসীর আক্কেল দাঁত ;
মিলনান্তে কুসুমিত ----
তব মন - বেনী পৌরুষ নদীতে বিসর্জিত ।।
--- ৹৹৹ ---
ভালোবাসার বৈধব্য
ভালোবাসার বৈধব্য হয় না ;
তোমার ছন্দপতন আমার জীবনে ......
ভালোবাসাকে করেছে আরও স্বচ্ছ
আরও পরিপূর্ণ।
সশব্দে আগমন -------- নিঃশব্দে নির্গমন তোমার ;
কিন্তু, আমার জীবনকে করেনি কোনো পরিবর্তন .......
ভালোবাসার কোনো শুন্যতা নেই
হয়েছি সম্পূর্ন।
তোমার ছন্দপতনে অন্যজন ;
ভালোবাসার ফুলে অভিনন্দিত হয়েছি বারবার,
আমিও স্বাগত জানিয়েছি ; কারণ .......
ভালোবাসার বৈধব্যকে স্বীকার করিনি আমি।।
--- ৹৹৹ ---
ছুটি
কেন ! সেই বৈশাখের তপ্ত দুপুরে
দখিনা জানালা বেয়ে
শিরশিরে ঘুম ঘুম হাওয়া জড়ানো
রঙীন পাতলা শাড়ীতে।
তোমার গোল - পীনোন্নত মুখ ভালোবাসার আহব্বায়ক।
যেখানে অম্বরহীন একজোড়া ঠোট , শ্রোণীদেশ ---
মিষ্টি নদীর মন্দ ধ্বনি আমি শুনেছিলাম।
তুমি বলেছিলে ----- " কালই শেষ "
" থাকো না আরো ----- একদিন ----- ", বিফল অনুরোধ।
বাহু বন্ধন ছিন্ন করে সোজা হলে।
ভেবেছিলাম এমনি করে চিরকাল
তপ্ত বৈশাখী দুপুরে দু'জনে মিলে
আম কুড়াবো ----- মাখাবো ----- সুখে খাবো ,
কিন্তু " ছুটি !! "
চলন্তিকা ট্রেনে চেপে তুমি
অনন্ত হাওয়ায় মিশে গেলে।
জানালার কবাট বন্ধ
অসীম আকাশ সসীমতায় নিঃশেষ ।।
----- ০০০ -----
বয়:সন্ধিকালীন মুখ
বড় আশ্চর্য আনন্দের বিশ্ববৈভব
খুঁজে ফেরে , বিকালের রাস্তার চৌমাথায় ;
প্রেমিক-প্রেমিকার কাতর চোখে
রাত্রির ভাব - প্রতিমাকে উৎসর্গ করে ।
জাদুকরী বৃক্ষকান্ডে জীবন মুক্তি ---
তৃষ্ণা আর অনুশোচনায় জড়ানো নবীন রাত্রি
হৃদয়ে-ওষ্ঠে উষ্ণতার অনুভব ;
চশমার ফাঁক দিয়ে সব সিদ্ধির
নগ্ন অধিশ্বরের নির্মলতার নোংরা চিৎকার ।
কৃতঘ্ন আলো জ্বলে তার বিষাক্ত দাতের উপর
শয্যায় আত্কে উঠে নিদ্রার খোলস ভাঙ্গে ।
অনন্ত স্বপ্নের আমন্ত্রণ -----
ক্ষুধা, মিথ্যা ও দারিদ্রকে সম্পদ করে
জলমগ্ন শবের মতো ভেসে যায় ।
সূদুর নীহারিকার মধ্যে তবুও: একদিন
সেই রহস্যময় রাস্তার চৌমাথায়
মাতৃত্বের ভিজে পোশাকে, গর্ভগৃহে ফেলে
কৃতঘ্ন স্নেহের বিষাক্ত নিশ্বাস ।
~~~~ ০০০০ ~~~~~
মূল্যহীন ভালোবাসা
ভালোবাসার মানে
উদাসী বাঁকে হারিয়ে যাওয়া
এক ঝাঁক বালিহাঁস।
মুক্ত আকাশে ডানা মেলা
পেঁজা পেঁজা এক খণ্ড সাদা মেঘ।
গভীর সমুদ্রের -- তট থেকে
দেখতে না পাওয়া ওই দিগন্ত রেখা।
অমাবস্যার দুর্যোগপূর্ণ রাতে
হঠাৎ দেখতে পাওয়া এক পথিক।
মরুভূমিতে পথ হারা এক তৃষ্ণার্ত পথিকের
হঠাৎ ঝরে পড়া এক পশলা বৃষ্টি।
দুর্যোগ ভরা রাতে --
তুমি ছিলে না সাথে।
বৃষ্টি ভেজা রাতে --- তুমি দূর হতে
একাকী হৃদয় ছুঁয়ে --- এঁকে দিলে ভালোবাসায়।।
প্রতিকৃতি
পাতাঝরা পোড়ো গাছের ডালপালা
ছেঁড়া ক্ষত বিক্ষত শেকোড়ের কান্না
পেশীর মধ্যে মৃত্যু লুকিয়ে আছে , তবুওঃ
পৃথিবী শুধু ওগরাচ্ছে কালো ধোঁয়া ।
স্নাযুগুলি শিথিল হয়ে আসছে .....
মৃত্যুর কল্পনা ভাস্বর স্মৃতির প্রতিকৃতিতে
সত্যের বাকরুদ্ধতা মুক্তির অপেক্ষায় আজ অবরুদ্ধ ।।
বেতার সুরের মূর্ছনা তোলে সপ্তকির তালে
স্মৃতির প্রতিকৃতি আলো আধারিতে খেলা করে ।
আমরা স্বপ্ন দেখি মাথা-মুন্ডুহীন , অলীক
সপ্ত আসমানের মতো অদৃশ্য সব স্বপ্ন ।
দর্পনে নিজস্ব প্রতিকৃতি দেখে শিউরে উঠি ,
পোড়া মুখ - ক্ষত বিক্ষত হৃদয় - শান্ত বিবেক ।।
~~~~~ ০০০০০ ~~~~~
বেশ্যা
ভালোবেসে কাছে টানা নয় --
স্বায়ত্বশাসনের ধ্বজায় বলি ;
কৈশোরের কিশলয় পুস্তক স্পর্শ করি
যৌবনের স্বপ্ন বৈভবের দীপশিখা জ্বালে :
স্বচ্ছলতার, উচ্ছলতা ক্ষুধায় ম্রিয়মান আজ --
বয়:সন্ধির শিশু-শশী প্রতিবিম্বের স্মৃতি ভরে ।
যুগান্তরের ঘূর্ণাবর্তে ---- !
নিষ্ফলে সফল এক ফোঁটা জল
প্রিজমছটায় অঙ্কুর - ধূসর দ্যূতির জাহ্নবী :
অতিবৃদ্ধ ডাবওয়ালার প্রচ্ছন্ন মুখ ক্রীড়নক ---
কতিপয়ের হাস্যধ্ব্নিতে !
তাই কুয়াশার শিশিরে ভিজেছে হৃদয়
ঢিল ফেলা দূরত্বে ভালোবাসা
থেমে গেছে -- রুদ্ধ কন্ঠ -- রক্তে ---
অমাবস্যার কালি খাঁড়াই ;
গৌরী জীবন কালিমা লিপ্ত ফুটপাথে
কেটেছে বিষাক্ত সাপের দল :
মুমূর্ষু নীলদেহ যৌবন আজ ---
সমাজ দিয়েছে নাম --- বেশ্যা।
----- ০০০ -----
তোমায় বোঝা ভার
বিশ্বাস
অস্তমিত হুরী
অস্তমিত জ্বলন্ত সূর্য ;
পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে ; ---
কিন্তু তার অগ্নিপিন্ড এখনো
হাতছানি দেয় লালিমায় ।
মনেহয়
কোন একসময় এর তেজ
বহু সবুজত্বকে নষ্ট করেছে ;
কিন্তু এখন ----- ?
পড়ন্ত আকাশের মধ্য গগনে এসে
ঠেকেছে ।
আজ
বরারোহা ভারে হুরী লজ্জাবনতা
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ;
স্তোকনম্রা নগ্ন বুকে -----
পুঞ্জি ভূত ব্যাথার রাশি
অগ্নি হয়ে ঝরে ।
নিঃশব্দ পদচারণা
মাধবীলতা !
কি করবো বলো ?
ফুল যে ঝরে যায় !
হায় !!
সে কেন শুকায় !!!
রৌদ্র তপ্ত ক'রে খেলা করে ,
অলিরা অবিচল বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে ফেরে ,
শান্ত দিঘীর জলে হাঁস গুলি ভেষে চলে ;
আর ছায়াঘেরা বনবিথীতে
তোমার নিঃশব্দ পদচারণা ——— !
দুটি ফুল হাওয়ায় মনের আনন্দে
দোদুল দোলায় দোল খায় ;
আর দোয়েল সপ্তস্বরে বাদ্য করে --
এই শ্যাম পল্লব দলে আচ্ছাদিত শ্যামলী
এই বনবিথী ;
সুন্দর মনোরম ও মনোহারী ।
মাধবীলতা !
সহসা চিৎকার করে জিজ্ঞাসিল
——— ওটা কি হলো ?
সুন্দর শ্যামলী মধ্যে একটা সুবর্ণলতা
ছিড়ে পড়েছে ; শুকিয়ে ঝরে গেল একটা ফুল ।
জানিনা কোন বৃক্ষের পুষ্প ওটা !
শুধু জানি আমার জীবনে
এ ছিল
তোমার নিঃশব্দ পদচারণা ।।
স্মৃতি
যাকে আমি মাথায় তুলে রাখি
আদর করি আর খোরপোষ দিই
আজ সেই বিস্বস্থ বন্ধুটাও
বিদ্রোহের নিশানা রাখলো আমার পায়ের
পেশীতে কাঁমড়ে আর আঁচড়ে।
যাকে আমি বেশী ভালোবাসলাম জীবনে
সেও দেখাবে আর হাটবে মোটা অঙ্ক ;
পথে বসাবে আমাকে সহ বাকীদের
করবে না কোনো আপোষ
দিতেই হবে বড় খোরপোষ।
যাকে মাথায় তুলে রেখে
ভরিয়েছি অনেক আদর-এ
বিশ্বাসের দূরত্ব বেড়েছে আমাদের
সত্যকে নিচ্ছি আজ আমি সাদরে।
ক্রমশ নাগালের বাইরে সরে গিয়েছো তুমি
ছিনিয়ে নিয়েছো আমার সবকিছু
নাম - ধাম ;
বেঁচে থাকি শুধু নিয়ে স্মৃতিকে
আদর
আমার আদর ছুঁয়ে যায় অমৃতার বুক
আর ভালোবাসা ছুঁয়ে যায় মাটির গন্ধ
প্রতিমার চক্ষু দান হয়
ওর নগ্ন নাভির পাদদেশে
যেখানে বৃষ্টি হয় অনবরত।
ওর শরীর আমার অজস্র ভালোবাসার দান
মুক্ত মন্দিরে বহনযোগ্য যন্ত্রনা
অগুনতি ক্লান্ত ক্রীতদাস ভালোবাসে
তবুও নিঙড়ানো শরীরে
ও ভালোবাসে আমাকে।
সবুজ ঘাসের ভোর হয় সোনালী রোদ্দুরে
শতাব্দীর একাকিত্ব আজ সৈকত পারে
সীমারেখার বাঁধন হারা নুপুর ধ্বনি
ক্লান্ত সূর্য ঘুমিয়ে পড়ে গোধূলির দেওয়ালে
আর !!
তুফান নদীর ভালোবাসা স্নান সেরে ঘরে ফেরে
রক্তিম আলোর বিচ্ছুরণ আর শুভ্র দ্যূতির সম্ভাষণে।
বেশ্যা
বেশ্যা ----- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে পাপের হয়েছে শেষ, বেশ্যার লাশ হবে না দাফন এইটা ...
-
বেশ্যা ----- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে পাপের হয়েছে শেষ, বেশ্যার লাশ হবে না দাফন এইটা ...
-
দুই বিঘা জমি ___রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে। বাবু কহিলেন, ‘বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।’ কহিলাম আমি, ‘তুমি ...
-
আফগানিস্তানকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় ১৮৭৬ সালে, নেপাল বিচ্ছিন্ন হয় ১৯০৪ সালে, ১৯০৬ সালে ভুটান, ১৯০৭ সালে তিব্বত (আংশিক), ১৯৩৫ সালে তিব...